শ্রীপুরে বর্জ্যে ভরছে সরকারি খাল, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, খাবারের হোটেল-রেঁস্তোরা ও বাজারের বর্জ্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে পৌর শহরের একমাত্র প্রধান সরকারি খালে ফেলা হচ্ছে। এতে খালটি ভরে যাওয়ায় দূষিত হচ্ছে পানি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আশপাশের কৃষি জমি। এছাড়াও বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়ছে পৌর এলাকা। আবর্জনায় প্রশস্ততা ও গভীরতা কমে বর্তমানে অযত্ন-অবহেলায় খালটি আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক বছর আগেও বর্ষাকালে খালের পানি দিয়ে তারা গোসল ও গৃহস্থালির কাজ করতেন। কিন্তু খালটি পৌরসভার বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সংস্কার ও খননের অভাবে বর্ষাকালেও এখন খালে আর আগের মতো পানি আসে না। বর্তমানে এটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। খালের উত্তর পাশের ১শ গজের মধ্যে রয়েছে হাজী আব্দুল হাই মডেল একাডেমী নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলাম জানান, ময়লা আবর্জনার দুগর্ন্ধে বিদ্যালয়ে পাঠদানেও সমস্যা হয়। দুগর্ন্ধ মাঝে মধ্যে প্রকটভাবে ছড়ালে শ্রেণিকক্ষের দরজা বন্ধ করে পাঠদান করতে হয়।
স্থানীয় কৃষক নাজিমউদ্দিন বলেন, ময়লা আবর্জনার কারণে খালের অধিকাংশ জায়গায় পানি প্রবাহিত না হওয়ার ফলে দূষিত বিভিন্ন আবর্জনা আশেপাশের জমিতে ছড়িয়ে পরে এতে প্রায় শতাধিক বিঘার জমিতে কোনো ধরনের ফসল ফলানো যাচ্ছে না।
শ্রীপুর পৌরসভার কনজারভেন্সী ইন্সপেক্টর (পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক) জহির উদ্দিন বলেন, এই স্থানে এখন আর পৌরসভার কোনো ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় না। হয়ত স্থানীয়রা খালে ময়লা ফেলে থাকতে পারে।
পৌর মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, পৌরসভা কেন খালে আবর্জনা ফেলতে যাবে। তবুও আমি খোঁজ খবর নিয়ে খালকে বাঁচানোর চেষ্টা করবো।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আকতার বলেন, মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলার প্রত্যেকটি খালের তালিকা প্রণয়ন চলছে। তালিকা প্রণয়নের পর আমরা খালটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করব।
পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের উপ-পরিচালক সোনিয়া সুলতানা বলেন, সরকারি খাল ও পরিবেশ রক্ষায় সরকার বদ্ধ পরিকর, এমন হয়ে থাকলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমিনুল ইসলাম/এমএএস/জেআইএম