ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিলাইছড়িতে খাদ্যশস্য আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলা

জেলা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ০৯:২৬ এএম, ২৬ জুন ২০১৫

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়িতে খাদ্যশস্য আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে কয়েকটি প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে পরিচালিত অনুসন্ধানীতে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বিলাইছড়ি থানায় দুটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক রাঙ্গামাটি জেলার সমন্বিত কার্যালয়।

জানা গেছে, বিলাইছড়ি উপজেলায় বিভিন্ন ভুয়া ও অদৃশ্য প্রকল্পের নামে কাজ না করে ১০০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য আত্মাসাতের অভিযোগটি ওঠে। ওই দুটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযোগটির অনুসন্ধান চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয় রাঙ্গামাটি জেলার সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীনকে। এরপর তিনি দীর্ঘ অনুসন্ধানী শেষে অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে ২৪ জুন বিলাইছড়ি থানায় দুটি মামলা (নম্বর ১ ও ২, তারিখ: ২৪/০৬/২০১৫ইং) দায়ের করেন। বিলাইছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

মামলার বাদী দুদক রাঙ্গামাটির উপ-সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন তার এজাহারে উল্লেখ করে বলেন, অনুসন্ধানকালে ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক হাজী শফিকুর রহমান ভুইঁয়া, সহকারী পরিচালক জাহিদ কালাম, নিরপেক্ষ ২ প্রকৌশলী, দৈনিক চট্টগ্রাম মঞ্চের প্রতিবেদক ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য চৌধুরী হারুনুর রশীদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তেজেন্দ্র লাল তঞ্চঙ্গ্যা এবং অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ওইসব খাদ্যশস্যের বিপরীতে দেখানো বিভিন্ন অদৃশ্য প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে প্রকল্পগুলোর কোনো অস্তিত্ব খুঁজে না পাওয়ায় প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলে।

পরে দুদক প্রধান কার্যালয়ে মামলা রুজুর সুপারিশসহ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দাখিল করা হলে কমিশনের অনুমোদন পাওয়ায় ২৪ জুন বিলাছড়ি থানায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে বিলাইছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, উচান জয় তঞ্চঙ্গ্যা, মেয়াধন তঞ্চঙ্গ্যা, রসবতী তঞ্চঙ্গ্যা, চিত্র তঞ্চঙ্গ্যা ও ফুলেছে মার্মাসহ ১১ আসামির যোগসাজশে ১০০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অপরাধে ওই দুটি মামলা দায়ের করেন।

সুশীল চাকমা/এমজেড/পিআর