ডুবতে ডুবতে বেঁচে গেল ৩৫ রোহিঙ্গা
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় গত ১৫ অক্টোবর সর্বশেষ নৌকাডুবির ঘটনায় ১৪ মরদেহ উদ্ধারের দশদিন পার না হতেই আবারও ডুবতে থাকা নৌকা থেকে ৩৫ রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
বুধবার ভোর ৪টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া এলাকায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি।
এ ঘটনায় উদ্ধার ৩৫ নারী, শিশু ও পুরুষকে স্থানীয় দাংগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। এটি ছাড়াও রোহিঙ্গা বোঝাই আরো কয়েকটি নৌকা এসেছে বলে দাবি করেছেন উদ্ধারকৃতরা।
স্থানীয় আবদুল মাবুদ ও হুমায়ুন রশীদ জানিয়েছেন, ফজরের নামাজের আগে শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় একটি নৌকা চরে আটকে ডুবে যাচ্ছে বলে খবর আসে। এটি জানার পরই স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা ডুবন্ত নৌকাটি থেকে রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের দ্রুত নামিয়ে আনতে সক্ষম হওয়ায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায় বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু।
টেকনাফ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল করিমের বরাত দিয়ে বলেন, নৌকাটি চরে এসে আটকা পড়ে ডুবে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে কূলে নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিয়ানমারের মংডুর শহরের দংখালী গ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি নৌকা বাংলাদেশ সীমানায় এসে সর্বশেষ ডুবেছিল। এ ঘটনায় ১৪ নারী-শিশু ও পুরুষের মরদেহ পাওয়া যায়। ওই নৌকায় ৬০-৬৫ জনের মতো রোহিঙ্গা ছিল যার মধ্যে প্রায় ৩০ জন শিশু। নৌকাডুবির পর বিভিন্ন ভাবে জীবিত পাওয়া যায় ২১ জনকে। তার মধ্যে শিশু ছিল সাতজন। বাকিদের হদিস আর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, গত ২৯ আগস্ট থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নাফ নদী ও সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ছোট-বড় ২৬ নৌকাডুবির ঘটনায় ১৮৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮৫ জন রোহিঙ্গা। অন্যজন বাংলাদেশি নৌকার মাঝি।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/আইআই