জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গেছে তিন রাখালসহ ৭০০ গরু-মহিষ
লক্ষ্মীপুরের কমলগনগরের মেঘনা নদীতে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে তিন রাখাল নিখোঁজ হয়েছেন। এসময় তীব্র জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে ৬০০ মহিষ ও ১০০ গরু। লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে গরু-মহিষ রাখার কিল্লা। নদীতে ভাসতে দেখা গেছে মৃত গরু ও মহিষের বাচ্চা।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চর কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা কাঁকরার চরে ফিরোজ বাঘার মহিষ কিল্লা থেকে রাখাল ও গরু-মহিষগুলো ভেসে যায়। এতে নিখোঁজ হয় তিন রাখাল।
নিখোঁজ রাখালরা হলেন- পাটারিরহাট ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে আবদুর জাহের (৫০), চর ফলকন গ্রামের কালু ফলোয়ানের ছেলে হান্নান (৩৫) ও একই গ্রামের দুলালের ছেলে মো. বাহার (২৫)।
জানা গেছে, উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়নের মো. ফিরোজ বাঘার ২০০ মহিষ, ফলকন ইউনিয়নের শফিকুল ইসলামের ১০০ মহিষ ও ২০টি গরু। একই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ১০০ মহিষ, নুর নবী বাঘার ১০০ মহিষ, দুলাল বাতানের ৫০ মহিষ, ৩৫টি গরু, জসিমের ১০০ মহিষ, শাহ আলমের ২৫টি মহিষ, গরু ৩টি, সালাহ উদ্দিনের মহিষ ৫০টি, আলা উদ্দিনের ৩০ মহিষ ও গরু ৫টি, জামাল উদ্দিনের ২০টি মহিষ ও ৫টি গরু জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায়। এরপর থেকে গরু ও মহিষগুলো নিখোঁজ রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মহিষ মালিক ও চরে কিল্লা স্থাপনকারী মো. ফিরোজ বাঘা বলেন, জেগে ওঠা ওই চরে ৭ লাখ টাকায় কিল্লা তৈরি করে ১০ জন মালিক প্রায় ১ হাজার মহিষ ও দুইশতাধিক গরু লালন-পালন করে আসছেন। জলোচ্ছ্বাসে কিল্লা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। এসময় রাখাল ও গরু-মহিষ ভেসে যায়।
পাটারিরহাট, ফলকন ও কালকিনি ইউনিয়নের মেঘনাপাড়ের বাসিন্দারা জানান, জোয়ারের সঙ্গে বেশ কিছু মহিষের মৃত বাচ্চা ও গরু ভেসে যেতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ঘটনাটি কেউ থানা পুলিশকে জানায়নি।
কাজল কায়েস/এফএ/এমএম