নোয়াখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ও গত দুইদিনের প্রবল বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক লোক পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার গত দুইদিনের টানা প্রবল বর্ষণ ও মেঘনা নদীর পানি জোয়ারের ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে চরঈশ্বর ও তমরুদ্দিন ইউনিয়নের অন্তত এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার রেজাউল করিম জানান, তার উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের অন্তত ৪০ কি.মি. বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। এতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও কমপক্ষে একলাখ লোক পানিবন্দি অবস্থায় চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে পত্র দেয়া হয়েছে।
এদিকে, জেলার উপকূলীয় এলাকা কোম্পানীগঞ্জেও টানা দুই দিনের প্রবল বর্ষণ ও বামনী নদীর পানি জোয়ারের কারণে বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার চরএলাহী ও চরফিকরা ইউনিয়নের ১, ৩, ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের চরলেঙটা গ্রাম, ভূমিহীন বাজারসহ আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেঁড়িবাধের ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বিভিন্ন বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, চরএলাহী ও চরফকিরা ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তকে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অথবা কত পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে তা সঠিক বলা যাবে না।
মিজানুর রহমান/এমআরএম/এএম