বৃষ্টিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটে আটকা পড়েছে যানবাহন। মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুর বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট রয়েছে। মাঝে মাঝে যানবাহনের চাকা ঘুরলেও অধিকাংশ সময় থেমে থাকছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী, শ্রমিক ও চালকরা।
এদিকে তিনদিনের বৃষ্টি ও যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। আর বৃষ্টিতে এসব গর্তে জমেছে পানি। সঙ্গে মহাসড়কের চারলেনের কাজের খোড়াখুড়িতো আছেই।
শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হয় এ যানজট। দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও সন্ধ্যা ছয়টার পর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি যান বিকল হলে আবার যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট এক পর্যায়ে মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের পাকুল্যা পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী হয়। পরে পুলিশ বিকল যানবাহন সরিয়ে নিলে রাত ১২টার দিকে ধীর গতিতে যান চলাচল শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে যানজট অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। যানজটে আটকা আর বৃষ্টির কারণে যাত্রী ও চারকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানজটের কারণে খবরের কাগজও মির্জাপুরে প্রায় তিন ঘণ্টা বিলম্বে আসে। যানজটে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নারী ও শিশু যাত্রীরা।
মির্জাপুরের প্রাইভেট কারের চালক পান্নু মিয়া জানান, সন্ধ্যা সাতটায় মির্জাপুরের গোড়াই থেকে মির্জাপুর সদর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তা আসতে তার প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক জানান, অপরিকল্পিত ভাবে মহাসড়কে চারলেন উন্নিতকরণ কাজ শুরু হওয়ায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া সকাল থেকে বৃষ্টি এবং মহাসড়কে খানাখন্দক থাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। বৃষ্টি থাকায় পুলিশ নিয়মিত কাজ করতে পারছেন না। তবে পুলিশ জট ছাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরশাদ/এফএ/এমএস