দু’দিনের বৃষ্টিতেই ভাঙল দু’মাসের বেড়িবাঁধ
পটুয়াখালীতে গত দুই দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ঢেউয়ের তোড়ে কলাপাড়ার লালুয়ার ইউনিয়নের ৮টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে ১১টি গ্রামের তিন হাজার একর আমনের খেত। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ছয় শতাধিক কৃষক পরিবার।
এদিকে ৭৫ লাখ টাকা ব্যায়ে দুই মাস আগে ৬০০ মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ঠিকাদারের নিম্নমানের কাজ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্বল তদারকির কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে বলে দাবি করেন সংশ্লষ্টি ইউপি চেয়ারম্যান মীর তারিকুজ্জামান তারা। একই উপজেলার ধুলাসরের চর ধুলাসরে বেড়িবাঁধের একটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
কলাপাড়ার লালুয়ার ইউনিয়নের বাসিন্দা মোসলেম প্যাদা বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আমগো ঘরে পানি ডোকছে। ঘরের মধ্যে কাদা হয়ে গেছে। ঘরে ছোট ছোট নাতি নাতনী আছে হ্যাগো লইয়া দুশ্চিন্তায় আছি।
পৌর শহরের রিকশাচালক খোকন বলেন, গত দুই ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টিতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে রাস্তায় নামে না। এই কারণে আয় কম।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে পায়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় তিন নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে তিন-চার ফুট পানির উচ্চতা বাড়ায় বেড়িবাঁধের বাইরের অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কুয়াকাটার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. মোছাব্বির হোসেন জানান, হঠাৎ জোয়ারে সাগরপাড়ের বালুচরের দোকানগুলো পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দোকানের মালামাল পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের জানান, কুয়াকাটার পৌর এলাকার বাঁধটি নাজুক অবস্থায় আছে। দ্রুত মেরামতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/এমএস