ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হাসপাতালে আরেক কিশোর, হাতে মাছের ছবি

জেলা প্রতিনিধি | মাদারীপুর | প্রকাশিত: ০৭:১৪ এএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৭

মাদারীপুরের রাজৈরে হাত কেটে মাছের ছবি এঁকে অসুস্থ স্বপ্ন মালো (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনলাইন সুইসাইড গেম ‘ব্লু হোয়েল’ খেলে সে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে তার পরিবার।

সোমবার রাত ৮টার দিকে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের ইউএস মডেল হাসপাতালে ওই স্কুলছাত্রকে ভর্তি করা হয়। স্বপ্ন মালো রাজৈর পৌর কুঠিবাড়ি এলাকার মানিক মালোর ছেলে ও রাজৈর-গোপালগঞ্জ কেজিএস পাইলট মডেল ইনস্টিটিউশনের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি দিয়েছে। অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।

স্বপ্ন মালোর পারিবারিক সূত্র জানায়, ৮ থেকে ১০দিন আগে ইন্টারনেট থেকে কৌতুহলবশত ‘ব্লু হোয়েল’ গেম ডাউনলোড করে স্বপ্ন মালো। এরপর সে গেমটির অ্যাডমিনের কথা অনুযায়ী হাতে তিমি মাছ এঁকে ৭টি ধাপ অতিক্রম করার চেষ্টা করে। পরে রাতের আঁধারে মোমবাতি হাতে নিয়ে বাড়ির ছাদে যেতে বলা হয় ওই তাকে। এরই মধ্যে ফেসবুকে ‘ব্লু হোয়েল’ গেম খেললে মানুষ মারা যায় এমন একটি খবর দেখে স্বপ্ন মালো সচেতন হয়। এরপর তাকে সুঁচ দিয়ে হাতে একশ ছিদ্র করতে বলা হলে সে নিজেকে বাঁচাতে মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে। কিন্তু গেমের ঘোর থেকে বের হতে না পারায় অসংলগ্ন হয়ে পড়ে ওই শিক্ষার্থী। পরে পরিবারের লোকজন টের পেয়ে সোমবার রাতে তাকে টেকেরহাট ইউএস মডেল প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ায় ওই শিক্ষার্থীকে পর্যাপ্ত চিকিৎসার পাশাপাশি কাউন্সিলিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

স্বপ্ন মালোর বাবা মানিক মালো বলেন, আমার ছেলে মরণ খেলার হাত থেকে বেঁচেছে। সরকারের কাছে আকুল আবেদন এই ‘ব্লু হোয়েল’ গেম যেন বন্ধ করে দেয়া হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসক পীযূষ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, আমরা ছেলেটিকে পর্যাপ্তভাবে কাউন্সিলিং করছি। সে যাতে ভীত না হয়। তার মনের মাঝে ভয়-ভয় কাজ করছে। তবে চিকিৎসা চলছে। স্বাভাবিক হতে কিছুদিন সময় লাগবে।

রাজৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতোলে গিয়ে ছেলেটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ছেলেটি সুস্থ রয়েছে। ‘ব্লু হোয়েল’ গেম সম্পর্কে সকল বাবা-মাকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।

এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/আরআইপি

আরও পড়ুন