ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সরকারি খাদ্য গুদামের গম বিতরণে প্রভাবশালীরা

প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ২২ জুন ২০১৫

নড়াইলের নলদী সরকারি খাদ্য গুদামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন গম বিতরণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয় নিয়ে নলদী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাসহ মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি সরকারি দলের স্থানীয় নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার লোহাগড়া উপজেলার নলদী খাদ্য গুদামে।

স্থানীয় মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, নলদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরজালাল বিশ্বাস, ওহাব মোল্লা ও মফিজুর রহমানসহ তার লোকজন সরকারি গম বিতরণের জন্য গুদাম কর্মকর্তা মিরাজ হোসেনের কাছে বস্তা চান। দিতে না চাইলে তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন নলদী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা।

এসময় তাদের বাঁধা দিতে গেলে নওয়াপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানও লাঞ্ছিত হন বলে জানান। তবে খাদ্য গুদামের ওই কর্মকর্তা ভয়ে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ জাগো নিউজকে জানান, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী খাদ্য গুদামে চলতি মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৯৯ টন গম ক্রয়ের নিয়ম থাকলেও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সরকারি দলের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এ গম নেয়া হয়ে থাকে।

নলদী খাদ্য গুদামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিরাজ হোসেন জাগো নিউজকে জানান, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদের মাধ্যমে গম নেয়া হচ্ছে। কে কৃষক আর কে কৃষক না তার দায় তাদের। তবে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

নলদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরজালাল বিশ্বাসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নূর জালাল নন বলে দাবি করে বলেন, আমি সালাউদ্দিন খান।

৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ওহাব মোল্লা জাগো নিউজকে জানান, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

নলদী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাদশা জাগো নিউজকে জানান, গুদাম থেকে বস্তা নিয়ে যাওয়ার সংবাদ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি নূরজালাল, ওহাব মোল্লাসহ কয়েকজন বসে আছেন। তবে সেখানে তেমন কিছু ঘটেনি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এনায়েত হোসেন মোল্লা জাগো নিউজকে জানান, গম ক্রয় এখনো শুরু হয়নি। তিনি নলদী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি জানেন না। তবে ঘটনাটি সত্য হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

হাফিজুল নিলু/এমজেড/এমএস