ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

হতদরিদ্র ১৫ বাবার মুখে হাসির ঝিলিক

প্রকাশিত: ১১:২২ এএম, ২১ জুন ২০১৫

বাবা ছোট্ট একটি শব্দ। এ দুটি অক্ষরের মধ্যে লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব মায়া-মমতা, আদর, আহ্লাদ, প্রেম-ভালবাসা সবকিছু। জন্মের পর বাবার হাত ধরে আমরা দিনে দিনে বেড়ে উঠি।

বাবা দিবসকে সামনে রেখে বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ সমাজসেবক সাদা মনের মানুষ হিসেবে পরিচিত আ. লতিফ খসরু বের হয়েছিলেন হতদরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত বাবাদের খোঁজে। অবশেষে পেয়ে গেলেন তাঁর বাবাদের।

বাবা দিবসে রোববার সকালে তাঁর প্রতিষ্ঠিত কাউখালী প্রতিবন্ধী স্কুল চত্বরে ১৫ জন বাবার সংবর্ধনার আয়োজন করেন আ. লতিফ খসরু।

এ সময় ১১০ বছর বয়সী ডা. নগেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, কোনোদিন কেউ এভাবে ডাকেনি। খসরু সন্তানের মতোই। সে কী দিলো এটা বড় কথা নয়। বড় গলায় বাবা ডেকে কথা বলে। মনে হয় যেন নিজের সন্তানেরই ডাক। এই সম্মানের জন্য আমি তার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। এ সময় অন্য হতদরিদ্র বাবাদের চোখে মুখে ছিলো হাসির ঝিলিক।

যে বাবাদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো: কাউখালী উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামের বিমল বিশ্বাসের ১১০ বছর বয়সী বাবা ডা. নগেন্দ্র নাথ বিশ্বাস (১১০), উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামের ১০০ বছর বয়সী মনীন্দ্র নাথ কর্মকার (১০০), উপজেলার আসপর্দ্দি গ্রামের বাবা কুব্বত আলী (৮০), আমরাজুরী ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পে বসবাসরত হতদরিদ্র চার বাকপ্রতিবন্ধী  সন্তানের বাকপ্রতিবন্ধী বাবা আশ্রাব আলী (৮০) একই আবাসনের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী জাহিদের বাবা শেখ মনিরুজ্জামান (৭০), শারীরিক প্রতিবন্ধী তানজিলার বাবা আকাব্বর আলী (৭০), শারীরিক প্রতিবন্ধী শান্তার বাবা দেলোয়ার হোসেন (৭০), আবাসন প্রকল্পের প্রতিবন্ধী নয়ন দাসের বাবা ননী গোপাল দাস (৬০), কেউন্দিয়া গ্রামের শ্রমজীবি মজলু মৃধা (৬০), আমরাজুরী গ্রামের শ্রমজীবি আ. জব্বার (৬০)।

উপজেলা দাশেরকাঠী গ্রামের শ্রমজীবী বাবা ছরোয়ার হোসেন (৮০), নেছারাবাদ উপজেলার শ্রমজীবী হানিফ মাঝি (৯০), কচুয়াকাঠী গ্রামের আবুয়ালের শ্রমজীবী ছেলে আ. কুদ্দুস (৬০)।

এই দিনে সংবর্ধিত বাবাদের মালা পরিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। প্রত্যেক বাবার হাতে ৩ কেজি করে আম তুলে দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান পল্টন, ৩ নং সদর ইউনিয়নের ইউপি মেম্বর জেপি নেতা নেপাল চন্দ্র দে, মোঃ জাকির হোসেন এবং মোঃ হেমায়েত উদ্দিন প্রমুখ।

এ বিষিয়ে আ. লতিফ খসরু বলেন, আমার বাবা নেই। আমাদের যাদের বাবা বেঁচে আছেন তাদের জন্য উৎসর্গ করি নিজেকে। তাদের প্রতি যত্মবান হই। আর আমাদের যাদের বাবা বেঁচে নেই সেই বাবার জন্য প্রতিনিয়ত দোয়া করি। বাবা তোমার প্রতীক্ষায় রাত জাগি। তাই এ বছর বাবা দিবসে পৃথিবীর সব বাবার জন্য রইল শুভেচ্ছা। কোনো কিছু চাওয়া ও পাওয়ার জন্য আমি এ কাজটি করিনি। গভীর এক দায়িত্ববোধ থেকে এ কাজটি করেছি।

হাসান মামুন/এআরএ/আরআই/এসআরজে