রোহিঙ্গাদের উস্কানিদাতা মিনার গ্রেফতার
২১ দফা দাবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার তৈরি করে উখিয়া ও টেকনাফের ক্যাম্পে টানিয়ে রোহিঙ্গাদের উস্কানি দেয়ার ঘটনার মূলহোতা মাহবুব আলম মিনারকে (৩০) অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের লারপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার অতি গোপনীয়তায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মিনার কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীর নিদানিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ও সাবেক শিবির কর্মী বলে দাবি করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের লারপাড়ার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর মিনার রোহিঙ্গাদের পক্ষে ২১ দফা দাবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার তৈরি ও ক্যাম্প এলাকায় টানিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
তার কাছ থেকে কিছু কিস্ফোরক দ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৫/৬ ধারায় কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডে আবেদন দেয়া হয়েছে। রোববার রিমান্ড শুনানি অনুষ্টিত হবে।
পুলিশ জানায়, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে মাহবুবুল আলম মিনার সক্রিয় হয়ে ওঠে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল ত্রাণ যোগাড় করে। রোহিঙ্গাদের নগদ টাকা ও ত্রাণ দেয়ার সময় নানা ভাবে তাদের প্রভাবিত করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অবাধে যাতায়াতের সুযোগে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ দফা দাবি সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার লিখে রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চালায়।
পুলিশ আরো জানায়, মিনারের একটি মৌলবাদী সংগঠনের সাথে সংযুক্ত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গাদের জোরালোভাবে সহযোগিতার জন্য কাতার, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ সংগ্রহ করছে। সে বড় ব্যানার লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে। তাই তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
পুলিশ জানায় এছাড়া মিনার ভূয়া পরিচয় দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে বলে জানা গেছে। সে কখনো কখনো নিজেকে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের কর্মকর্তা, আবার কখনো কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্বার্থ হাসিল করেছে বলেও তথ্য এসেছে। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস