ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফতুল্লায় রিকশার গ্যারেজে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি | নারায়ণগঞ্জ | প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০১৭

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল সন্ত্রাসী। এসময় সন্ত্রাসীরা তাদের দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করে একটি রিকশার গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে কাশিপুরের হোসাইনী নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক ও ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিনসহ জেলা পুলিশের সিনিয়ার অফিসার ও র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহত মিল্টন হোসেন (৩৮) কাশিপুর হোসাইনী নগর এলাকার সাহেব আলীর ছেলে এবং পারভেজ আহমেদ (২৮) একই এলাকার মিজান মিয়ার ছেলে। মিল্টন ছায়াবৃত্ত নামের একটি মাল্টিপারপাসের পরিচালক। পারভেজ তার কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মিল্টন হোসাইনী নগর এলাকাতে মাল্টিপারপাসের ব্যবসা করতেন। তার পাশে একটি রিকশার গ্যারেজের বসে রাতের বেলা হিসাব-নিকাশ করতেন তিনি। তার সঙ্গে একটি ছোট হোসিয়ারি কারখানাও রয়েছে। আর পারভেজ মিল্টনের অধীনে কাজ করতেন। গত তিনদিন আগে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে পাইকপাড়া নয়াপাড়া এলাকার বাপ্পী শিকদার নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মিল্টনসহ তার লোকজন। বর্তমান বাপ্পী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

তারই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ১০/১৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই গ্যারেজে হানা দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা দা-চাপাতি নিয়ে গ্যারেজের ভেতরে প্রবেশ করে সেখানে থাকা মিল্টন ও পারভেজকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। সন্ত্রাসীরা রিকশার গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বীর দর্পে এলাকা ত্যাগ করে।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামালউদ্দিন জানান, টাকা-পয়সার লেনদেন ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কে বা কারা দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে পুলিশ শনাক্ত করে অভিযান শুরু করেছে। আর মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে প্রতিপক্ষ পরিকল্পিতভাবে এসে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খুব শিগগিরই হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ