ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

উত্ত্যক্তে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা : বাবা-ছেলের আত্মসমর্পণ

নিজস্ব প্রতিবেদক | বগুড়া | প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, ১২ অক্টোবর ২০১৭

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রী রোজিফা আকতার সাথী আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হুজাইফা ইয়ামিন ও তার বাবা আমিনুল ইসলাম মীর আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিজ্ঞ বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও বাবা-ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে।

বখাটে হুজাইফা ইয়ামিনের উত্ত্যক্তে অতিষ্ট হয়ে গত রোববার রাতে নিজ বাড়িতে ৯ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী রোজিফা আকতার সাথী আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। পরে সাথীর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বখাটে হুজাইফা ইয়ামিনকে আটক করতে রাতেই জিয়ানগরের পাশের গ্রাম হেরুঞ্জ গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় গ্রামবাসী পুলিশের কাজে বাধা দেয় এবং তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের ৩ কর্মকর্তা আহত হন এবং ওয়্যারলেস সেট খোয়া যায়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে রাতে আবারও অভিযান চালিয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৬ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার বাবা-ছেলে পৃথক দুটি মামলায় আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে।

দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বখাটে ইয়ামিন ও তার বাবা আমিনুর ইসলাম মীরকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেছে। পৃথক দুটি মামলায় তাদের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডের শুনানি আগামী ১৫ অক্টোবর রোববার অনুষ্ঠিত হবে বলে আদালত থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে মেয়ের বাবা গোলাম রব্বানী উপজেলার হেরুঞ্জা গ্রামের বখাটে হুজাইফা ইয়ামিন ও তার বাবা আমিনুল মীরকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া দায়িত্ব পালনে বাধা ও হামলার অভিযোগে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

আত্মহত্যাকারী রোজিফা আকতার সাথী উপজেলার জিয়ানগর গ্রামের গোলাম রব্বানীর মেয়ে। সে স্থানীয় জিয়ানগর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিল।

আরএআর/জেআইএম