আমি ভালোবাসি, তোমরা ভালোবাস না
চুলগুলো তার উষ্কখুষ্ক। মুখে সর্বদাই হাসি। হই হুল্লোড় করে পুরো পাড়া মাতিয়ে রেখেছে। কেউ কিছু খেতে দিলেও খাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে দু-একটি ইংরেজি শব্দ বলছে সে। কখনও আবার কথা বলতে বলতে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। বেশির ভাগ সময়ই বলছে, ‘আমি প্রেম করি আমি ভালোবাসি তোমরা ভালোবাস না’।
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গজিয়াবাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণীর পাগলামী দেখতে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমিয়েছে।
মেয়েটির কাছে গিয়ে নাম জানতে চাইলে তার নাম গ্যানেশা, বোনের নাম মরিয়ম তার কোনো ঘরবাড়ি নেই বলে জানায়। মেয়েটি আরও বলছে ‘আমি বাঁচতে চাই’।
তবে কোথায় কখন কীভাবে এখানে এসেছে স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারছে না মেয়েটি। হাঁটতে হাঁটতে তার পায়ে ফোসকা পড়ে গেছে। স্থানীয় তারা মিয়ার বাড়িতে তাকে কয়েকজন নারী মিলে গোসল করিয়ে নতুন পোশাক পরিয়েছে। কোনো ভাবেই বাড়িতে ধরে রাখা যাচ্ছে না তাকে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ৮-১০ দিন ধরে এলাকার বিভিন্ন অলি গলিতে তাকে দেখা যাচ্ছে। কোথা থেকে কীভাবে এখানে মেয়েটি এল কেউ জানে না। তবে তারা ধারণা করছেন, মেয়েটি ভালো একটি স্কুলের মেধাবী ছাত্রী। প্রেমের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হয়ে মেয়েটি হয়তো মারাত্মক মানসিক আঘাত পেয়েছে। এতে তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।
আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, ‘আমি জরুরি কাজে উপজেলা সদরে যাওয়ার কারণে মেয়েটির কাছে যেতে পারিনি। তবে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাদশা মোল্লাকে মেয়েটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।’
আরিফ উর রহমান টগর/এফএ/জেআইএম