বাকেরগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে পেটালো পুলিশ
জুম্মার নামাজ পড়ার সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে রাশেদ রায়হান জুয়েল নামে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার থানা মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটেছে। রাশেদ রায়হান জুয়েল বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
জুয়েল জানান, তিনি থানা মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। নামাজে দাঁড়ানোর সময় বাকেরগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। ওই পুলিশ সদস্যরা নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের বাইরে থানার গেটের সামনে অবস্থান করতে থাকে। তিনি (জুয়েল) মসজিদ থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলে গেটে অবস্থানরত উপ-পরিদর্শক লুৎফর রহমানের নেতৃত্বে অন্য পুলিশ সদস্যরা তাকে মারধর করতে থাকে। এসময় থানার ভেতরে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছুটে এসে তাকে রক্ষা করেন।
তবে অভিযুক্ত এসআই লুৎফর রহমান জানান, মসজিদে বসা নিয়ে কয়েকজন কন্সটেবলের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা জুয়েলের কথা কাটাকাটি হয়। পরে থানার গেটে ওই পুলিশ সদস্যদের গালাগালি করে জুয়েল। প্রতিবাদ করলে পুলিশ সদস্যদের সাথে জুয়েলের হাতাহাতি হয়। ঘটনার সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে লুৎফর রহমান দাবি করেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমিরুজ্জামান জানান, ছাত্রলীগ নেতাকে পেটানোর বিচার চেয়ে পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সন্তোষজনক বিচার না হলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনে নামবে।
সাইফ আমীন/ এমএএস/পিআর