লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণ-হত্যা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্কুল ছাত্রী সীমা রানী দেবনাথ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেকের ১ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল বাছিদ এ রায় দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ১৪ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাবুল মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন, সুধারামের ইউছুফ মিয়ার ছেলে হেদায়েত উল্লাহ হেদু, সোনাইমুড়ির শাহ আলমের ছেলে সাদ্দাম, বেগমগঞ্জের গোলাম রহমানের ছেলে মানিক, সৈয়দ আহমদের ছেলে সুমন, পশ্চিম এখলাশপুরের এনায়েত উল্লাহর ছেলে সোহেল, কুমিল্লার আব্দুল কাসেমের ছেলে হিরণ, লক্ষ্মীপুর সদরের আবুল কালামের ছেলে নূরনবী, শ্রীরামপুরের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে নুরুল আলম ও অলিপুরের নুরুল আমিনের ছেলে মো. রাশেদ।
এদের মধ্যে সোহেল, সাদ্দাম, রাশেদ, সুমন ও মানিক পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসীম উদ্দিন জানান, ২০১২ সালের ১৮ জুলাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুদৌহিদা গ্রামের মানিক লক্ষ্মণের ঘরে ২০/২৫ জন মুখোশ পরা ডাকাতদল প্রবেশ করে। পরে সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় মানিক লক্ষ্মণের মেয়ে প্রতাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সীমা রানী দেবনাথকে ঘরের মধ্যে গণধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এর পরদিন সকালে সদর থানায় নিহতের বড়ভাই বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৫ মার্চ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিগোপত্র দেয়।