প্রগতিশীল জোটের নেতাকর্মীর উপর ছাত্রলীগের হামলা

নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে ভর্তি বাণিজ্য ও ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে হামলা ও মারপিটের শিকার হয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শহরের খানপুরে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের দাবি, ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে। তবে ছাত্রলীগ বলছে, ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই।

আহতরা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মৈত্রী ঘোষ, প্রগতিশীল ছাত্র জোটের জেলার আহ্বায়ক ও সামজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলার সভাপতি সজল বাড়ৈ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ও তোলারাম কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র জাহিদ সুজন প্রমুখ।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মৈত্রী ঘোষ বলেন, সকালে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি তোলারাম কলেজে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াদসহ আরো কয়েকজন জোটের মিছিলের পিছন দিক থেকে কাঁঠ, বাঁশ, অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলার সময় পুলিশ গাড়ি নিয়ে দাঁড়ানো থাকলেও ছাত্রলীগের কর্মীদের বাধা না দিয়ে উল্টো জোটের কর্মীদের মারতে যায়।

এ বিষয়ে তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ মুঠোফোনে জানান, জামায়াত নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির রায়কে স্বাগতকে জানিয়ে ও জামায়াতের হরতালের বিরুদ্ধে সকালে ছাত্রলীগ মিছিল বের করে। এ সময়ে বহিরাগত কিছু লোকজন কলেজে আসে যখন অভিভাবক প্রতিনিধি সভা ও পরীক্ষার কারণে কলেজের মূল ফটক বন্ধ ছিল। কিন্তু উ-শৃঙ্খল লোকজন কলেজের মূল গেট ধাক্কাধাক্কি করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তখন বহিরাগতদের কলেজ থেকে সরিয়ে দেয় সাধারণ লোকজন। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ সত্য না। বরং মিডিয়া কভারেজের জন্যই এ ধরনের দোষারোপ করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা জানান, কলেজের সামনে ছাত্রলীগ হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে আর একই সময়ে বাম দলের কিছু লোকজনও মিছিল বের করে। তখন দু`পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শাহাদাৎ হোসেন/এআরএ/আরআইপি