পুলিশের এসআই’র কারিশমা, ৫০ বোতল মদ উধাও!
মদ উদ্ধারের পর উধাও করে কারিশমা দেখালেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানা পুলিশের এসআই আব্দুল আলীম। উদ্ধার করা ১৬৮ বোতল মদ হয়ে গেল ১১৮ বোতল।
সেই সঙ্গে এক ঘণ্টার ব্যবধানে পুলিশের এই এসআই’র বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার ৫০ বোতল মদ উধাও করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় ১১৮ বোতল মদ ও একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার উদ্ধার দেখিয়ে একটি মামলা করা হয়। তবে পুলিশ কর্মকর্তার ৫০ বোতল মদ উধাও করে দেয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা টোল প্লাজার সামনে আষাঢিয়ার চর এলাকায় রোববার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
এ সময় কুমিল্লাগামী একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি করে ১৪টি কার্টনে ১৬৮ বোতল বিদেশি মদসহ বিপ্লব খাঁন ও সবুজ মিয়া নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখান থেকে এক আসামি পালিয়ে গেলেও একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, ১৪টি কার্টনে ১৬৮ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হলেও থানায় দায়ের করা অভিযোগে ১১৮ বোতল মদ উদ্ধার দেখানো হয়েছে। বাকি ৫০ বোতল মদ কোথায় উধাও হলো তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি কেউ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান, সোনারগাঁও থানা পুলিশের এসআই আব্দুল আলীম, সঙ্গীয় ফোর্স আবু হানিফ, ইউসুফ একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস থেকে ১৪টি কার্টনে ১৬৮ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করে। কিন্তু এই মদ থানায় যাওয়ার পর ১১৮ বোতল কিভাবে হলো তা পুলিশ কর্মকর্তারাই ভালো জানেন।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানা পুলিশের এসআই আব্দুল আলীমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযানে ১১৮ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো থানায় জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০ বোতল মদ উধাও হওয়ার বিষয়টি সত্য নয়।
মদ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, সোনারগাঁও থানায় ১১৮ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এর বেশি উদ্ধার হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। যদি বেশি উদ্ধার করে কম দেখানোর বিষয়টি প্রমাণিত হয় তাহলে এসআই আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শাহাদাত হোসেন/এএম/জেআইএম