মর্গে পাঠানোর সময় বোঝা গেল তিনি বেঁচে আছেন
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের মিরেরচকে মৃত ভেবে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখা যায় তিনি জীবিত। তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি নড়ে ওঠেন। বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালেই তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, মরদেহ ভেবে উদ্ধারের পর বোঝা যায় আসলে তিনি অচেতন। পরে অচেতন অবস্থায় লোকটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর রাতে তার চেতনা ফেরে। তবে পানিতে পড়ার ঘটনাসহ নিজের পরিচয় সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারছেন না লোকটি। একেক সময় একেক রকম তথ্য দেয়ায় মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে লোকটির পরিচয় শনাক্ত করতে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জেদান আল মুসা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শাহপরান থানায় তখন কর্তব্যরত ছিলেন উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী জালাল উদ্দিন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেনের মুঠোফোনে খাদিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দেলোয়ার হোসেন মৎস্য খামারের একটি পুকুরে মরদেহ পড়ে থাকার খবর দেন। ওসি তাৎক্ষণিক জালালের নেতৃত্বে পুলিশ দল পাঠান।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলার ১ নম্বর ওয়ার্ডে শাহপরান থানা-পুলিশের তত্ত্বাবধানে ভর্তি আছেন লোকটি। তার চিকিৎসা তদারক করছেন শাহপরান থানার ওসি আখতার হোসেন। লোকটির পরনে ছেঁড়া একটি লুঙ্গি ছিল। ওসি নতুন লুঙ্গিসহ জামা-কাপড় কিনে দিয়েছেন।
ওসি আক্তার হোসেন বলেন, মরদেহ হিসেবে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি ছিল। শেষ পর্যন্ত লোকটি চিকিৎসাসেবায় সুস্থ হচ্ছে।
তিনি বলেন, অনুমান ত্রিশোর্ধ্ব বয়সের লোকটি তার নাম ইব্রাহিম মোল্লা ও ভাইয়ের নাম জুয়েল বলছেন। বাড়ি নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না। তবে কয়েকবার সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর বলছিলেন। এ অনুযায়ী পুলিশ তার স্বজনের খোঁজ করছে। তবে আজ দুপুর সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো খোঁজ মেলেনি।
বর্তমানে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় ইব্রাহিম মোল্লার চিকিৎসা চলছে। এসআই কাজী জামাল উদ্দিন তাকে দেখাশোনার দায়িত্বে আছেন।
শাহপরাণ থানার ওসি আখতার হোসেন শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির এখনও বাড়ির কোনো ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তবে তার শারিরীক অবস্থা উন্নতির দিকে। কিছুক্ষণ আগেও তিনি তাকে দেখে এসেছেন বলে জানান ওসি।
ছামির মাহমুদ/এফএ/আইআই