হোটেল-মোটেলও ভাড়া পাবে না রোহিঙ্গারা
রোহিঙ্গারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে চেষ্টা চালাচ্ছে। এটা রোধ করতে সব সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখানে ব্যর্থ হয়ে অনেকে পর্যটক সেজে হোটেল-গেস্ট হাউজ ও কটেজে অবস্থান করতে পারে। দেশের স্বার্থে আমরা তাদের পর্যটক হিসেবে গ্রহণ করব না। তাই কোনো রোহিঙ্গা আবাসিক হোটেলে অবস্থান নিলে সঙ্গে সঙ্গে তথ্যটি পুলিশকে দিতে হবে। এ ব্যাপারে হোটেল ও কটেজ মালিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন।
মঙ্গলবার বিকেলে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতি, কটেজ মালিক সমিতি, হোটেল মালিক সমিতি ও বিচ হোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় রোহিঙ্গা সংকট, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, সদর থানা পুলিশের ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া, হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি ওমর সুলতান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার, দফতর সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা শফিকুর রহমান কোম্পানী, কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি কাজী রাসেল আহমদ নোবেল, হোটেল মালিক গ্রুপের সিরাজুল হক ও রমজান আলী সিকদার।
সভায় দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে মিয়ানমারের নাগরিক বা বিদেশি নাগরিক হোটেলে অবস্থানকালীন সময়ে তাদের তথ্য সমূহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজে বৈধ অনুমতি বিহীন নিয়োগ না দেয়া, রোহিঙ্গাদের অবস্থানের খবর পেলে সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করাসহ হোটেলের নিরাপত্তাসহ যেকোনো প্রয়োজনে সদর থানায় অবহিত করা যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস