বিয়ের দাবিতে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ধর্ষিতা নারী
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) মো. সেলিম ওরফে সোয়েবের হাতে ধর্ষণের শিকার স্বামী পরিত্যক্তা এক নারী বিয়ের দাবিতে অনশন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ওই নারী অনশন শুরু করেন।
এ সময় ছাত্রলীগ নেতা সোয়েব, ধর্ষণে সহযোগী তার বন্ধু শিপন ও পরিবারের লোকজন ওই নারীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি বিয়ের দাবিতে অনড় থাকায় সেখানে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
পরে বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম মল্লিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আগামী শনিবার সালিশি-বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ওই নারীকে অনশন অবস্থান থেকে সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম মল্লিক বলেন, আগামী শনিবার বেলা ১১টায় বিষয়টি নিয়ে সালিশ-বৈঠক করা হবে। সালিশ-বৈঠকে অভিযোগকারী নারীসহ পাঁচজন এবং অভিযুক্ত যুবকসহ পাঁচজন অভিভাবকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টির সমাধান করা হবে।
উল্লেখ্য,গত ৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আশেকপুর এলাকায় এক স্বামী পরিত্যক্তা নারী দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউপি ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সেলিম ওরফে সোয়েব কর্তৃক ধর্ষিত হন। ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করা হয়। এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ওই নারী মামলা করেন।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় দেলদুয়ার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব এক জরুরি সভা ডেকে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/আইআই