ভূরুঙ্গামারীতে রোহিঙ্গা পরিবারের সন্ধান
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে একটি রোহিঙ্গা পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরিবারটির সদস্যরা উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দিয়াডাঙ্গা গ্রামের লাভলু মিয়া নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছেন।
পরিবারটির সদস্যরা হলেন আবুল কালাম (৩০), স্ত্রী সফিকা (২০) এবং তাদের দুই মেয়ে সন্তান রোজিনা (৪) ও রোকেয়া (৩)।
আবুল কালাম জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু থানার তারাশু গ্রামের বাসিন্দা তারা। বার্মিজ সেনাবাহিনীর আক্রমণে সে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। প্রাণ বাঁচাতে তারা দেড় মাস আগে নাফ নদী পেরিয়ে চট্টগ্রামের উখিয়ায় প্রবেশ করেন। সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারটির পরিচয় হয়। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়নে। তিনি মায়া করে আমাদের ভূরুঙ্গামারীতে নিয়ে আসেন। বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত. নেকাত ব্যাপারীর ছেলে বাবলু হাজীর বাড়িতে তারা কিছুদিন অবস্থান করেন। রোহিঙ্গা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা আসায় নিরাপত্তার স্বার্থে ওই ব্যক্তি তাদের পাথরডুবি ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত গ্রাম দিয়াডাঙ্গায় তার শ্বশুর রশীদ মিয়ার বাড়ির পাশে লাভলুর বাড়িতে আশ্রয় দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাথরডুবি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মিঠু জানান, গত শুক্রবার থেকে পরিবারটি লাভলু মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরিবারটি রোহিঙ্গা হওয়ায় এ ঘটনা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য পরিবারটি অত্যন্ত সংগোপনে সীমান্তবর্তী এই গ্রামে আশ্রয় নেয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ তাপস চন্দ্র পন্ডিত জানান, রোহিঙ্গা এ পরিবার প্রধান আবুল কালাম একজন প্রতিবন্ধী। তারা প্রায় দুই মাস আগে এ এলাকায় আসেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মো. নাজমুল হোসেন/জেএইচ