সঙ্কট কাটিয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়িতে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে টানা ৯ দিন নাব্যতা সঙ্কট কাটিয়ে ফেরি চলাচল এখন অনেকটাই স্বাভাবিক।
শনিবার সকাল থেকে ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসি'র উপ-মহাব্যবস্থাপক খালেদ নেওয়াজ জানান, শনিবার সকাল থেকে ৫টি কে-টাইপ, ৩টি মিডিয়াম, ৬টি ড্রাম ও ৩টি রো-রোসহ মোট ১৭টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। লৌহজং চ্যানেলে ড্রেজিং করায় এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বিগত কয়েকদিনের চাইতে অনেকটা স্বাভাবিক। এখনও ড্রেজিং চলছে তবে চ্যানেলটি পুরোপুরি ভাবে সচল করতে আরো দুইদিন সময় লাগতে পারে।
তিনি আরো জানান, গত ৩১ আগস্ট থেকে পদ্মার পানি আকস্মিক ভাবে কমতে থাকালে এ নৌরুটে ফেরি চলাচলে প্রায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় বড় ফেরিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপশি ভারী যানবাহন বিকল্প পথ দিয়ে চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আজ পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় যানবাহনের তেমন কোনো চাপ নেই। শিমুলিয়া প্রান্তে যানবাহনের তুলনায় পর্যাপ্ত ফেরি রয়েছে।
মাওয়া-কাওড়াকান্দি ট্রাফিক ইনস্পেক্টর মো. সিদ্দিক জানান, শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় ওপারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় কোনো গাড়ি নেই। ৯ দিন পর চ্যানেলটি কিছুটা সচল হওয়ায় রো রো ফেরিসহ ছোট বড় বেশকিছু ফেরি চলাচল করছে।
তিনি আরো জানান, রাজধানীমুখী লোকাল পরিবহন কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর কিছুটা চাপ রয়েছে। পরিবহন কোম্পানিগুলো স্বাভাবিক ভাড়ার চাইতে ২০/৩০ টাকা বেশি নিচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এফএ/এমএস