পালংখালী খাল থেকে গুলিবিদ্ধ আরও ৫ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী সীমান্তের ওপারে নাফ নদের তীরে মিয়ানমার সেনা ও মগ যুবকদের দায়ের কোপ ও গুলিতে নিহত হওয়া আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পাংলখালী আনজুমপাড়া এলাকার মেদিখাল এলাকা থেকে বুধবার বিকেলে এসব মরদেহ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে তুলে আনা হয়। সন্ধ্যার পর আনজুমনপাড়া পূর্ব ফারিরবিল জামে মসজিদ কবর স্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।
তারা হলেন- কারি ফায়েজুল ইসলাম (৫৬), শামশুল আলম (৫০), ছৈয়দ আলম (৫৫), সুফিয়া আকতার (১৯) ও ফয়েজুর রহমান (৯০)। তারা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিদং টংবাজার রাংমংপাড়ার বাসিন্দা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিদং টংবাজার রাংমংপাড়া মুহাম্মদ ফয়েজ জানান, বুধবার সকালে মিয়ানমার সেনাদের একটি বিশাল বাহিনী ও মগ যুবকরা তাদের পাড়ার পূর্ব প্রান্ত থেকে আক্রমণ শুরু করে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা ও বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়ার খবর পেয়ে তাদের পাশের লোকজন বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসছিল।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সীমান্তে নৌকায় উঠতে অপেক্ষারত লোকজনকে ধাওয়া করে। কেউ নৌকায় কেউ সাঁতরে নদী পার হচ্ছিল। এ সময় মগ যুবকরা পেছন থেকে বেশ কয়েকজনকে ধারাল দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। যারা নৌকায় ছিল তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে সেনারা। কোনো মতে এপারে চলে এসে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করতে সমর্থ হন তারা।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. কায় কিসলু বলেন, ওপারে গুলি ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে নিহত ৫ জনের মরদেহ এপারে নিয়ে এসেছে স্বজনরা। সন্ধ্যার পর আনজুমানপাড়া সামাজিক কবরস্থানে তাদের দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের মুখে নৌকাযোগে নাফ নদ পার হতে গিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় গত শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ৬৪ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করে করা হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/এমএস