নাফে মিলল শিশুসহ ৯ রোহিঙ্গার মরদেহ
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের মুখে নৌপথে বাংলাদেশে আসার পথে নাফ নদে আবারও নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে শাহপরীরদ্বীপ সৈকত এলাকা থেকে শিশুসহ মোট ৯ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করেছে বিজিবি-কোস্টগার্ড।
বুধবার ভোর রাতে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাওয়া রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষের মরদেহের সংখ্যা ৬৪-তে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার নয়জনের মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ড শাহপুরী স্টেশন কমান্ডার লে. ফয়সাল।
সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকার সদস্য ফজল করিম বলেন, লোক মারফত খবর পেয়েছি নাফ নদ পার হয়ে আসতে গিয়ে ছয়-সাতটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে মোট কতজন ভেসে গেছে তা সঠিক বলা না গেলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা গেছে।
বেলা আড়াইটার দিকে নাফ নদের মৌলভীবাজার এলাকা থেকে এক শিশু, লম্বরীঘাট থেকে এক পুরুষ ও আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
মরদেহগুলো উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবদুল্লাহ মনির।
টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান বলেন, খবর পেয়েছি বুধবার ভোররাতে ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। হয়তো ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে নদী পারাপাররত নৌকাগুলো। কোনো মরদেহ ভেসে আসছে কিনা আমরা খোঁজ রাখছি। কত মানুষ সেখানে ছিল তাও জানার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের মুখে নৌকা যোগে নাফনদী পার হতে গিয়ে শাহপরীরদ্বীপ গোলারচর এলাকায় রোহিঙ্গাদের নৌকাডুবির ঘটনায় এসব মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে। এর আগেও গত শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত আরও ৫৫ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম