ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

কুমেক বার্ন ইউনিটের বেহাল দশা : রোগীদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:০৭ এএম, ০৮ জুন ২০১৫

আইসিইউ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স, পর্যাপ্ত শয্যা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণের সংকটসহ বহুমুখী সমস্যায় জর্জরিত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। এতে কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

জানা যায়, ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর কুমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় বার্ন ইউনিট চালু করা হয়। শুরুতে মাত্র ৪টি শয্যা নিয়ে তা চালু হলেও স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তা ১৮ শয্যায় উন্নীত করা হয়।

সরেজমিনে বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শয্যার অভাবে অনেক রোগী ফ্লোরে ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে বার্ন ইউনিটে ১ জন সহকারী অধ্যাপক, ২ জন রেজিস্ট্রার, ৩ জন সহকারী রেজিষ্টার রয়েছে। শূন্য রয়েছে ১ জন করে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপকের পদ। এছাড়াও জনবল কাঠামোতে নার্সদের পদ সৃষ্টি না হওয়ায় কুমেক হাসপাতালের নিয়মিত নার্স দিয়েই বার্ন ইউনিটের চিকিৎসা সেবা চালু রাখা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য ওয়ার্ড বয় রয়েছে মাত্র ১ জন। এখানে পৃথক অস্ত্রপোচার কক্ষ এবং এনেসথেসিয়াবিদ নেই।

বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মির্জ্জা মুহম্মদ তাইয়েবুল ইসলাম জানান, কুমেকের বার্ন ইউনিটে বর্তমানে ঢাকার অনুরূপ চিকিৎসা ব্যবস্থা ও চিকিৎসক রয়েছে। তবে আইসিইউ ইউনিট চালু, শয্যা বৃদ্ধি, উন্নতমানের আরো কিছু যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সসহ অন্যান্য শূন্য পদ পূরণ হলে ঢাকায় না গিয়ে রোগীরা এ বার্ন ইউনিটেই উন্নত ও পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পাবে।


কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পর্যাপ্ত  শয্যা নেই। তাই গত বুধবার পেট্রলবোমা দগ্ধ রোগীদের এভাবেই ফ্লোরেই চিকিৎসা নিতে হয়েছে

এদিকে, বার্ন ইউনিটের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি ও আইসিইউ ইউনিট চালু করতে ভেল্টিলেটরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বরাদ্দ ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট আবেদন করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ১ বছরে এ বার্ন ইউনিটের বহির্বিভাগে ১ হাজার ২০২ এবং অন্তর্বিভাগে ১ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন সেখানে গড়ে ৩০ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. হাবিব আবদুল্লাহ বলেন, বর্তমানে অবকাঠামো বৃদ্ধির কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হওয়ার পর শয্যাসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও জনবল বাড়ানো হবে। এতে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসা সেবা আরো উন্নত হবে বলে তিনি জানান।

এসএস/এমএস