বাংলাদেশে প্রবেশের মুখে ১৪৬ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাল বিজিবি
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ১৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবির) সদস্যরা।
শুক্রবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ঢুকার চেষ্টাকালে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। সকালে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর জলসীমানা অতিক্রম করার সময় ওই ১৪৬ রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরত পাঠায় বিজিবি।
ফেরত পাঠানো এসব রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ২নং বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর সাইফুল ইসলাম জমাদ্দার।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোররাত পর্যন্ত নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা চালায় রোহিঙ্গারা। এ সময় বিজিবি সদস্যরা ১৪৬ জন নারী, পুরুষ ও শিশুদের আটক করে মানবিক সহায়তা দিয়ে পুনরায় স্বদেশে ফেরত পাঠায়। ফেরত পাঠানো দলে কোনো যুবক ছিল না।
ফেরত পাঠানো রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, গত রাতে রাখাইন রাজ্যে সেদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের গোলাগুলি হয়েছে। সেনাবাহিনীর ১৮টি চৌকিতে হামলার কথা প্রচার পাচ্ছে। এ কারণে এসব রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ছুটে আসছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সমন্বিত হামলায় মিয়নিমার পুলিশের ৯ সদস্য নিহত হওয়ার পর তার দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর।
এ ঘটনায় চিরুনি অভিযানে ঘরহারা হয় ৩০ হাজার মানুষ। পালাতে গিয়েও গুলি খেয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে চলে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা।
এসব রোহিঙ্গারা এখনও টেকনাফের লেদা, নয়াপাড়া, শামলাপুর ও উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালীর ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। এখন আবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছে বলে দাবি করছে সীমান্ত এলাকার লোকজন।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/পিআর