গাজীপুরের `রাঙ্গামাটি রিসোর্ট` বিনোদন কেন্দ্র না পতিতা পল্লী!
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত রাঙ্গামাটি রিসোর্টে শুটিং, পিকনিক ও অনুষ্ঠানের নামে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ৫০ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকায় ভাড়া নিয়ে রাতভর চলে নাচ, গান আর মাদকের আসর। বিভিন্ন ধনীর দুলালী থেকে শুরু করে সমাজের অনেক বিত্তশালী যোগ দেন এসব আসরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এ রিসোর্টে সারা বছরই ডিজে পার্টির নামে চলে অশ্লীল নৃত্য, নারী ব্যবসা ও মাদকের আসর। প্রশাসনকে মোটা অঙ্কের মাসোহারা দিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক ও নারীর আসর।
এছাড়া দিনের বেলায়ও সাধারণের পাশাপাশি অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্কুল-কলেজ ও ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা ওই বিনোদন কেন্দ্রের বিভিন্ন কটেজের কক্ষ ভাড়া নিয়ে নির্বিঘ্নে লিপ্ত হয় অসামাজিক কার্যকলাপে। ঢাকা থেকে ভাড়া নিয়ে এ বিনোদন কেন্দ্রটিতে নির্বিঘ্নে চলে নানা ধরনের অসামাজিক কার্যক্রম।
স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও এ অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা যায়নি। বিনোদন কেন্দ্রটি এখন পতিতাপল্লীতে পরিণত হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে এ রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে বিপুলসংখ্যক নারী -পুরুষকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতেও ‘রাঙ্গামাটি রিসোর্ট’ থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা ও জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬ জনকে আটক করেছে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকদের মধ্যে সাতজন ওই রিসোর্টের কর্মচারী, সাতজন নারী ও ১২ জন পুরুষ রয়েছে। পরে তাদের শুক্রবার বিকেলে গাজীপুর জেলা আদালতে পাঠানো হয়।
গাজীপুর জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন জানান, রাঙ্গামাটি রিসোর্টে আসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা ও সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬ জনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, রিসোর্টের মালিক ও ম্যানেজার পলাতক। এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রমজান আলী বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পুলিশের অভিযানে কিছুদিন অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পরে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে যায়।
আমিনুল ইসলাম/এআরএ/এসএইচএস/পিআর