বিএনপিকে ধন্যবাদ দিলেন কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে যে রায় দিয়েছে তাতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল ও উড়ে এসে জুড়ে বসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে বিএনপি কোনো মন্তব্য করেনি। এ রায় তারা মেনে নিয়েছে। এ জন্য বিএনপিকে ধন্যবাদ।
শুক্রবার বন্যা কবলিত দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রঘুপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কের সদর উপজেলার ৫নং ইউনিয়নের পাঁচবাড়ী এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা পরিদর্শন শেষে শহরের কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও দশ মাইল মোড়ের আশপাশ এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। তারা উপকূলে ও হাওড়েও যায়নি। উত্তরাঞ্চলে এসে ফটোসেশন করে চলে গেছে। আওয়ামী লীগ আপনাদের বিপদে ফেলে চলে যাবে না। আপনাদের পাশে আছে, ছিল, থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়েছে। আমরা চলে যাওয়ার পরও তারা আপনাদের পাশে থাকবে। এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন খারাপ। কারণ জন্মদিনের কেক কাটা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ঈদের পরে নাকি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কিন্তু কোন ঈদের পর তা তারাই ভালো জানেন। খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে কবে দেশে ফিরবেন তাও তিনি জানেন না। তাই তিনি ঘরে বসে আবল তাবল বকছেন। বিএনপির আন্দোলন এখন লন্ডনের ট্যামস নদীর তীরে খালেদা জিয়ার ভ্যানেটি ব্যাগে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী ছাড়াও ডিসি, এসপি, বিজিবি সেনাবাহীনি সবাই ত্রাণ বিতরণ করছে কি না এমন প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বানভাসী মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না এ কথা সত্য নয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যাচার করছেন। তার কথা ভিত্তিহীন।
তিনি আরও বলেন, আমি লোক দেখানো রিলিফ বিতরণ করতে আসিনি, যতদিন পূনর্বাসন ও ঘরবাড়ি না হবে ততদিন আপনাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার উপহার। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৪ কোটি মানুষের হাতে মোবাইল। ৭ কোটি মানুষের বাড়িতে ইন্টারনেট। বস দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ বিপদের সময়ও আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, সিবলি সাদিক, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সতীশ চন্দ্র রায়, বিএম মোজাম্মেলহক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রধানমন্ত্রীর এটুআই প্রোগ্রামের জনপ্রেক্ষিত কর্মকর্তা মো. নাইমুজ্জামান মুক্তা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক রিয়াজ রহমান।
এমদাদুল হক মিলন/এফএ/পিআর