আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে ইউএনওকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার মাহমুদুর রহমানের পিঠের চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।
একই সঙ্গে ইউএনওকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠেছে ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনা বৃহস্পতিবার দিনাজপুর জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছেন ইউএনও তরফদার মাহমুদুর রহমান।
পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক যুবলীগের সাবেক সভাপতি এবং দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শফিকুর রায়হান ওরফে নেতা এ হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে ইউএনও তরফদার মাহমুদুর রহমান পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নং-৬৮৬।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, শফিকুর রায়হান নেতা বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পার্বতীপুর উপজেলা পরিষদে ইউএনও’র কক্ষে গিয়ে মোবাইল কল ধরা নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হন।
এ সময় আওয়ামী নেতা মারমুখী হয়ে ইউএনওকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতা ইউএনও’র পিঠের চামড়া তুলে নেয়ার হুমকিসহ অশ্লীল কথা বলেন। এ অবস্থায় ইউএনও পুলিশকে জানালে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরফদার মাহমুদুর রহমান জানান, ঘটনার বিষয়ে রাতে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রায়হান হুমকির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ইউএনওকে বলতে গেছিলাম- সাতদিন ধরে দিনে ২/৩ বার করে ফোন দিচ্ছি ধরছেন না কেন? প্রতি উত্তরে ইউএনও আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, গত জুন মাসে কয়েকটি প্রল্পের নামে প্রায় ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বিশেষ বরাদ্দ আসে। ওই টাকায় কোনো কাজ না করেই তা লুটপাট করা হয়। এ নিয়ে এর আগে একদিন ইউএনও’র সঙ্গে আমার ফোনে কথা কাটাকাটি হয় বলে দাবি করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
এমদাদুল হক মিলন/এএম/আইআই