মাদারীপুরে ২ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় আটক ১২
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আরশেদ মাদবর (৪০) ও শাহজাহান দরানী (৪০) নিহত হওয়ার ঘটনায় ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল জানান, পুলিশ এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করেছে। এলাকার বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকায় র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, উপজেলার কুতুবপুরে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আতিক মাদবর ও সদ্য আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইব্রাহিম শিকদারের মধ্যে দ্বন্দ বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার সকালে ইদ্রিস হাওলাদারের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আতিক মাদবরের ভাই যুবলীগ নেতা আরশেদ মাদবর বাড়ির পাশের শাহজাহান দরানীর দোকানে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ঘেরাও করে ফেলে। এসময় তারা আরশেদ মাদবরকে গুলি করে লাশ টেনে হিচড়ে ইদ্রিস হাওলাদারের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে লাশ একটি ক্ষেতে ফেলে রাখে।
অন্যদিকে শাহজাহান দরানীকে পাশের ক্ষেতে নিয়ে গুলি করে পুকুরে ফেলে যায়। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের শরীরে অসংখ্য গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতংক বিরাজ করছে। এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল ও শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শিবচর থানার ওসি আবদুস সাত্তার জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বৈধ না অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাহবুবুর রহমান রাজীব জানান, নিহতদের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তারা দু’জন মারা যান।
এভাবে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় নৃশংস খুনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে স্থানীয় দলীয় কোন্দল মিটানোসহ আইনশৃংখলা বাহিনীকে আরো কঠোর হওয়ার দাবী জানান এলাকার সাধারণ মানুষ।
এ কে এম নাসিরুল হক/এআরএস