সিরাজগঞ্জে গতবারের থেকে বেশি বন্যার আশঙ্কা
সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীতে পানি দিনদিন বেড়েই চলেছে। এতে জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, গুমানী, হুরাসাগর, ফুলজোড় নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। আবারও প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। গতবারের চেয়ে এবার বেশি বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
খোকশাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা জানান, দেখতে দেখতে রাতের মধ্যে কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। গতবারের চেয়ে এবার পানি বেশি হবে। পানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আলীম জানান, আমাদের ইউনিয়নে মোট ৩১টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। তিনি বলেন, এবার পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এক রাতে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, অবিরাম বৃষ্টি ও ভারতের আসামে বন্যা হওয়ার কারণে যমুনার পানি আরো ৩/৪ দিন বাড়তে পারে। গত ৩ দিনে পানি ১৩৪ সেন্টিমিটার বেড়ে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দ্বিতীয় দফায় সিরাজগঞ্জে আবারো বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে এবং যেকোনো পরিস্থিতির মোকাবেলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে। গত বারের চেয়েও এবার বেশি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যা মোকাবিলার সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জেলা প্রশাসক ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। এতে বন্যা কবলিত মানুষদের হতাশ হওয়ার কিছু নাই। প্রতিটি ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হবে।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এফএ/জেআইএম