চৌহালীর বাঁধে ১৩ দফা ধস : ৪০ মিটার যমুনায় বিলীন
ধসে ধসে ১৩ দফা অতিক্রম করল দেশের অন্যতম বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জের চৌহালীর বাঁধ। চলতি বন্যায় ১৩ দফা ধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাঁধটি। আতঙ্ক যেন থামছেই না তীরবর্তী অসহায় মানুষের।
১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধে রোববার সকালে খাসকাউলিয়া অংশের ৪০ মিটার বিলীনের মধ্যদিয়ে ধস ১৩ দফায় পৌঁছল। এ নিয়ে নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের। কেউ কেউ ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে ঘর-বাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। নির্মাণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণেই ৭ কিলোমিটার এ বাঁধ ধসে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র এবং এলাকাবাসী জানায়, চৌহালী উপজেলা সদরের ৪ কিলামিটার এবং টাঙ্গাইলের সোয়া ৩ কিলোমিটার মিলে ৭ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ১০৯ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়। এই টাকা দিয়ে ভাঙনের রশি টেনে ধরতে নদীর পূর্বপাড়ের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সড়াতৈল থেকে দক্ষিণ নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, শাহজানীর খগনের ঘাট, সিরাজগঞ্জর চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার গত ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। যার ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
তবে হঠাৎ করে রোববার সকালে বাঁধের চৌহালীর খাসকাউলিয়া অংশের প্রায় ৪০ মিটার ধসে যায়। বাঁধ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পাথরের বোল্ড ও জিও ব্যাগ। সাধারণ স্রোতে আকস্মিক এ ধস এলাকা জুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। চলতি বছর ১৩ দফা ধসে মূল বাঁধটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাই কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান জানান, বার বার ধস আসলেই আমাদের অবাক করেছে। এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা উচিৎ। আমি ধসের বিষয়টি পাউবো কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা মেরামত করা হবে।
এদিকে বাঁধটির বার বার ধসে চিন্তিত তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, এ ঘটনায় আমরাও বিব্রত। তাই প্রধান প্রকৌশলী ও পাউবো মহাপরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি তারা দ্রুত বাঁধ পরিদর্শন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এফএ/আইআই