দুইদিনের বৃষ্টিতে দিনাজপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
টানা দুইদিনের অতিবৃষ্টিতে দিনাজপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে করে পানির নিচে ডুবে গেছে শত শত একর জমির ফসল। অতিবৃষ্টিতে স্থানীয় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, টানা এই বর্ষণ আগামী দুইদিন পর্যন্ত চলতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে টানা এ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে ফসলি জমিসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে নদ-নদীর পানি। অনেক স্থানেই সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ এলাকায় মহাসড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
এদিকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় খানসামাসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের ৬০টি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে সুজালপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা। গবাদিপশুসহ আসবাবপত্র নিয়ে স্থানীয় বলদিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা এবং সুজালপুর ইউনিয়নের উত্তর মাকড়াই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ তোফাজ্জুর রহমান। তিনি জানান, আগামী দুইদিন পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত স্থায়ী হতে পারে।
তবে পানিতে আমন চারা ডুবে গেলেও তেমন কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। দিনাজপুরের গোপালপুর গ্রামের কৃষক নরেন্দ্র নাথ জানান, টানা ৭ দিন পর্যন্ত যদি পানিতে আমন চারা ডুবে থাকে তাহলেও কোনো ক্ষতি হবে না। তবে এই জলাবদ্ধতা যদি ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে।
এদিকে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
দিনাজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন কর্মকর্তা সিদ্দিকুর জামান জানান, দিনাজপুর জেলার পুনর্ভবা নদীর পানি ৩৩ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ও আত্রাই নদীর পানি ৩৯ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এই দুটি নদীর বিপদসীমা যথাক্রমে ৩৩ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার ও ৩৯ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার।
এমদাদুল হক মিলন/আরএআর/আরআইপি