পানির নিচে ৫ গ্রাম, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আবারও অবনতি ঘটেছে। এতে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের পাঁচ গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শনিবার সকালে মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব গ্রাম প্লাবিত হয়।
সেই সঙ্গে বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দীঘিনারার হাজাপাড়া, মেরুং, বেতছড়ি, ছোট মেরুং ও সোবানপুর গ্রামের ছয় শতাধিক পরিবার। শতাধিক পরিবার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। পাশাপাশি দীঘিনালার মেরং উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৫টি বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে। প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়িতে ফের পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে সড়কের ওপর পাহাড়ধস ও সড়কের ওপর পানি ওঠায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে খাগড়াছড়ির সঙ্গে সাজেক, বাঘাইছড়ি ও লংগদু সড়ক যোগাযোগ।
মেরুং বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল হোসেন জানান, বন্যার পানিতে বাজারের শতাধিক দোকান এখন পানির নিচে।
খাগগড়াছড়ি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইসমাইল হোসেন জানান, মেরুংয়ে বন্যায় কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা যুবলীগ বন্যাদুর্গতদের দুপুরে চিড়া, মুড়ি ও গুড়সহ শুকনা খাবার বিতরণ করেছে বলেও জানান তিনি।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, দীঘিনালার মেরংয়ে বন্যাদুর্গত মানুষগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দুর্গতদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল-ডালসহ শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এএম/আরআইপি