সিলেটে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কোপানোর ঘটনায় মামলা
সিলেট নগরের সোবহানিঘাটে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী আবুল কালাম আছিফের বড় ভাই আবুল কালাম আফাজ বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন।
মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন, নগরের সবুজবাগের আক্কাছ আলী (৪০), শাহজালাল উপশহরের এবাদুর রহমান (৩৫), সোনারপাড়ার শিবির ক্যাডার আব্দুল ফাত্তাহ (২০), শাহজালাল উপশহরের আকিব (২২), একই এলাকার ছাকিব (২০), আহমিদ (২৪) ও জাবেদ (২১)।
এছাড়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জালালাবাদ কলেজের সহকারী শিক্ষক আক্কাছ আলী ও সহকারী শিক্ষক এবাদুর রহমান।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা জানান, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তবে গত সোমবার রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মীরা নগরের সোবহানিঘাটস্থ জালালাবাদ কলেজ, মা ও শিশু ক্লিনিকে ভাঙচুর করেন।
এ সময় তারা সিসি ক্যামেরার রেকর্ড ও কম্পিউটার নিয়ে যান। গত রাতে ও সকালে জালালাবাদ কলেজে দুই দফা ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ। তবে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভাঙচুরের ওই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনা শিশু হাসপাতালের সিসিটিভিতে ধরা পরে। সে ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দেয়ায় ছাত্রলীগ রাতে এই হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এ সময় হামলাকারীরা হাসপাতালের সামনের একটি ফার্মেসি, একটি কক্ষ ও একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করেন।
ক্লিনিকের পাশের জালালাবাদ কলেজেও কলেজের প্রশাসনিক বিভাগে হামলা চালিয়ে তারা ভাঙচুর করেন। কলেজের নৈশপ্রহরী হায়দার আলী জানান, রাত ৮টার দিকে একদল যুবক ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালান।
সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন জানিয়েছেন, দুপুরে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে আহতের জের ধরে রাতে ছাত্রলীগ এ হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম তুষার জানান, রাতে এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
গত সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার শিশু ক্লিনিকের সামনের রাস্তায় মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী ও সিলেট সদর উপজেলার পীরপুর টুকেরবাজারের নূরুল আমিনের ছেলে শাহীন আহমদ (২২) এবং শাহজালাল উপশহরের জালাল উদ্দিনের ছেলে জালালাবাদ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রলীগকর্মী আবুল কালাম আছিফকে (২০) ধারাল দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
গুরুতর আহত শাহীনকে সোমবার বিকেলেই ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। তার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হযেছে। আছিফ কলেজে অধ্যয়নরত এবং শাহীন কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। তারা দুজনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
ছামির মাহমুদ/এএম/আরআইপি