ইউএনও’র দেখানো পথে এমপিও খালে নামলেন
যশোরের অভয়নগরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মনদীপ ঘরাইয়ের দেখানো পথে এবার ভবদহের জলাবদ্ধ এলাকার খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করতে পানিতে নামলেন যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়।
শনিবার যশোরের অভয়নগরের মশিয়াহাটি খালে কচুরিপানা অপসারণ কর্মসূচি পরিদর্শনে গিয়ে পানিতে নেমে পড়েন তিনি।
জনসাধারণের সঙ্গে তিনিও কচুরিপানা অপসারণ করেন জলাবদ্ধতা নিরসনে। সংসদ সদস্যের অংশগ্রহণের কচুরিপানা অপসারণে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়।
নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনদীপ ঘরাই জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে জনসাধারণ অংশগ্রহণে শুক্রবার থেকে অভয়নগরের জলাবদ্ধ এলাকায় কচুরিপানা অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য কচুরিপানা অপসারণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে নিজেই অংশ নেন।
জানা যায়, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ফেসবুক স্টাট্যাসের সূত্র ধরে ‘কচুরিপানা নির্মূলে, নামবো জলে বিভেদ ভুলে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে এলাকার আপামর জনসাধারণ শুক্রবার সকাল থেকে বিভিন্ন খালে নেমে শুরু করে কপুরিপানা অপসারণের কাজ।
শুক্রবার দিনব্যাপী সুন্দলী এলাকার তিনটি খালের সাতটি পয়েন্টে দেড় সহস্রাধিক মানুষ কচুরিপানা অপসারণের কাজে অংশ নেন।
শনিবার সকালে জলাবদ্ধতা নিরসনে শত শত মানুষ কচুরিপানা অপসারণে খালে নেমে পড়েন। গোবিন্দপুর, সুন্দলী, ডুমুরতলা, ডহর মশিয়াহাটি প্রভৃতি এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়।
এরপর মশিয়াহাটি বাজার এলাকা পরিদর্শন শেষে নিজেই মশিয়াহাটি খালে নেমে কচুরিপানা অপসারণের কাজ শুরু করেন এমপি রণজিৎ রায়।
এসময় কচুরিপানা অপসারণের কাজে অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মনদীপ ঘরাই, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আসলাম হোসেন, প্রেমবাগ ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন, সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল প্রমুখ।
মিলন রহমান/এমএএস/জেআইএম