মা এসে দেখেন দুই মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ
জামালপুর সদর উপজেলায় দুই বোনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ভোরে নেস্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বড় বোন ভাবনা (১৪) এবং ছোট বোন লুবনা (০৯)। ভাবনা স্থানীয় রহিমা কাজেম উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। লুবনা মতিউর রহমান কিন্ডার গার্টেনের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
তাদের বাবার নাম সামিউল ইসলাম শামীম, তিনি মালয়েশিয়া প্রবাসী এবং মায়ের নাম তাসলিমা বেগম।
পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাব্বদ কবীর জানান, রাতে খাবার খেয়ে দুই বোন ঘুমিয়ে পড়ে। বুধবার সকাল ৮টার দিকে তাদের মা ঘরে এসে দুই মেয়ের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে ভাবনা ও লুবনার মা জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নিজ বাবার বাড়ি জামালপুর শহরে যান। ওই রাতে দুই বোন ছাড়া বাসায় আর কেউ ছিল না। তবে পাশে ছিল চাচাদের বাসা।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে বাড়িতে ফিরে মা তাসলিমা বেগম দুই মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, বুধবার ভোরের দিকে তাদের হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
ওসি মোহাব্বদ কবীর জানান, কী কারণে তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে ময়মনসিংহ থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডির একটি দল উপস্থিত হয়েছে। তারা মরদেহ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
পিবিআই ময়মনসিংহ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক জাগো নিউজকে জানান, প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দুই বোনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
শুভ্র/এফএ/এমএআর/আরআইপি