ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পথ মাত্র আড়াই কিলোমিটার, ভুগছে হাজারো মানুষ

জেলা প্রতিনিধি | শরীয়তপুর | প্রকাশিত: ০৩:৪৪ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৭

শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কেবলনগর জোড়া ব্রিজ থেকে শিকদার কান্দি পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। কাদায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। এটি পাকা না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, প্রতিদিন ওই রাস্তা দিয়ে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় গ্রামবাসী। আর কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এ রাস্তার অবস্থা আরো করুণ হয়েছে। পানি আর কাঁদায় একাকার হয়ে রাস্তাটি যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবারই নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা গুরুপ্তপূর্ণ এই রাস্তাটি পাকা করার আশ্বাস দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর সবাই তা ভুলে যায়।

Shariatpur

ক্ষোভের সূরে এলাকাবাসী বলেন, এখন বর্ষাকাল চলছে। গ্রামের মানুষ নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে চিকন্দি বাজার অথবা জয়নগর ও গঙ্গানগর বাজার আসতে পারছেন না। পানি কাঁদা পেরিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল কলেজে যেতে পারছেন না। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে।

গ্রামবাসীর আভিযোগ, শরীয়তপুর সদর উপজেলার অধিকাংশ রাস্তা পাকা হয়ে গেছে কিন্তু এ রাস্তাটি পাকা হয়নি আজও। এতে করে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় তারা ক্ষোপ প্রকাশ করছেন।

চিকন্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা টিটু পাঠান ও পারভীন বেগম বলেন, বেশ কয়েক বছর যাবত এই রাস্তাটি দিয়ে আমাদের যাতায়াত। কিন্তু একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটিতে কাদা হয়ে যায়, বর্ষাকালেতো কোনো কথাই নাই।

Shariatpur

প্রতিবারই নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা গুরুপ্তপূর্ণ এই রাস্তাটি পাকা করার আশ্বাস দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর সবাই রাস্তাটি করার কথা ভুলে যায়। রাস্তাটি পাকা হওয়া প্রয়োজন।

চিকন্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হক সিকদার বলেন, রাস্তাটি করা অতি জরুরি। আমরা রাস্তাটি করার পরিকল্পনা করছি। বরাদ্দ পেলে রাস্তাটি করা সম্ভব হবে।

চিকন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মুন্সী বলেন, এই রাস্তাটি অতি গুরুপ্তপূর্ণ। অর্থ সংকটে রাস্তাটি পাকা করা হচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় কাগজপত্র দিয়ে রেখেছি। দেখি কী করা যায়।

ছগির হোসেন/এফএ/পিআর

আরও পড়ুন