অবশেষে মামলা নিল পুলিশ
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মালপাড়া গ্রামে ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে মামলা নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার বিকেলে মামলা না নিয়ে উল্টো মেয়েটির পরিবারকে মিথ্যাবাদী বলে থানা থেকে বের করে দিলেও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে এবং ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে জানালে ওই রাতেই মামলা নেয় পুলিশ।
ধর্ষিতার ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্ত রিজভী ও তার বন্ধু রাজনসহ অজ্ঞাত আরো ২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম জানান, সংবাদকর্মীদের উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার বোনকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর আমাকে পুুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। পরে রাতেই গোসাইরহাট থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলাটি রেকর্ড করা না হলেও মঙ্গলবার রাতে রেকর্ড করা হয়েছে। মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
উল্লেখ্য, প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটের মালপাড়া গ্রামের এক ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে রোববার রাতে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে রাতভর আটকে রেখে হাত ও মুখ বেঁধে পাশবিক নির্যাতন করে একই গ্রামের বখাটে রিজভী। এ কাজে রিজভীর বন্ধু রাজনসহ আরো ২ জন সহায়তা করে। একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বেপারীর বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে মেয়েটিকে আটক অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। বিকেলে মেয়েটিকে নিয়ে মেয়ের বাবা, মা ও চাচা মামলা করার জন্য থানায় গেলে মেয়ের কথাবার্তা অসংলগ্ন এই অযুহাতে গোসাইরহাট থানা পুলিশের ওসি মামলা না নিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন।
ছগির হোসেন/এমএএস/আরআই