রাঙ্গামাটিতে আবারও পাহাড়ধসের আশঙ্কা
অবিরাম বৃষ্টিতে রাঙ্গামাটিতে আবারও পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করা মানুষ। তবে নিরাপদে সরে যেতে সতর্কতা জারি করে প্রশাসন থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে ঝুঁকিতে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। যে কোনো সময় এ সড়কে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অবিরাম বৃষ্টিতে কাপ্তাই লেকে পানি বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে নিচু এলাকায় বাস করা মানুষের বহু বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি ডুবে যাচ্ছে।
পানির অতিরিক্ত চাপ কমাতে কাপ্তাই বাঁধের ১৬ গেট খুলে দিয়ে অবিরাম ছাড়া হচ্ছে পানি। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৩৬ হাজার কিউসেক পানি ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানান কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আবদুর রহমান।
অন্যদিকে বর্তমানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টির মধ্যে ৪ ইউনিট দিয়ে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. মানজারুল মান্নান জানান, বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করা লোকজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষে প্রস্তুতি রয়েছে। সবক্ষেত্রে সতর্ক নজরদারি রাখা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি ও শালবন এলাকায় আবার নতুন করে ধস হচ্ছে। পাহাড় ধসে সড়কের ওপর মাটি পড়ে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। সাপছড়িতে কিছু কিছু স্থানে ধসে পড়া মাটি রাস্তায় পড়ে জঞ্জালের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো অপসারণে বুলডোজার ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য চট্টগ্রাম থেকে বুলডোজার আনা হচ্ছে।
এদিকে ১৩ জুনের পাহাড় ধসের ঘটনার পর রাঙ্গামাটি শহরে পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করা লোকজন সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও মাঝখানে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় প্রায় মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফেরেন। কিন্তু সম্প্রতি অবিরাম বর্ষণে আবার আতঙ্কের মধ্যে পড়েছেন তারা।
শহরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করা অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গত কয়েক দিনের বর্ষণে মাটি নরম হয়ে আবার ধস দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলোর পাশ থেকে মাটি সরতে শুরু করেছে।
সুশীল চাকমা/এমএএস/পিআর