ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

নরসিংদীতে সাবেক জাতীয় ফুটবলারকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০২:৫৪ এএম, ২৬ মে ২০১৫

নরসিংদীর পলাশে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক জাতীয় ফুটবলার নাদিরুজ্জামান খন্দকারকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছেন সন্ত্রাসীরা। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলা চনরগরদী বাজারে এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার ভাই সাইফুলকে আটক করেছে পলাশ থানা পুলিশ।

আটক সাইফুল পলাশ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল মোহাম্মদ শাহীনের বড় ভাই। নিহত ফুটবলার নাদিরুজ্জামান খন্দকার চরনগরদী এলাকার কামরুজ্জামান খন্দকারের ছেলে। তিনি আরামবাগ, চিটাগাং মোহামেডান ও সাবেক অগ্রণী ব্যাংক ক্লাব সেন্টারে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলতেন। তবে পরিবারের অভিযোগ পলাশ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে দাবি করা চাঁদা না দেয়ায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ৫/৬ দিন আগে পলাশের পারুলিয়া মোড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হন পলাশ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল মোহাম্মদ শাহীন। ওই সময় নিহত ফুটবলার নাদিরুজ্জামানের বাবা কামরুজ্জামান শাহিনকে নিয়ে কটুক্তি করেন। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার রাত ৮টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা শাহিনের ভাই সাইফুল, তুহিনসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী কামরুজ্জামানের উপর হামলা চালান। এসময় তার ছেলে ফুটবলার নাদিরুজ্জামান এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথারি কোপাতে থাকেন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

তবে নিহতের বাবা কামরুজ্জামান খন্দকারের অভিযোগ করে বলেন, আপেল মোহাম্মদ শাহীন পলাশ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই আমার চাতালে (রাইস মিল) প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা মাসোহারা দাবি জানায়। এতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রলীগ নেতা শাহীন তার ভাই সাইফুল ও তুহিনসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে বাঁচাতে আমার ছেলে এগিয়ে আসলে তারা আমার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে।

এদিকে জাতীয় ফুটবলারকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয়রা। এসময় উত্তেজিত জনতা ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়।  ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে  ছাত্রলীগ নেতার ভাই সাইফুলকে আটক করা হয়েছে।    

সঞ্জিত সাহা/এমজেড/এমএস