বিয়ানীবাজারে গুলিতে নিহত লিটু ছাত্রলীগ কর্মী নয়
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিহত ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ লিটু আসলে ছাত্রলীগের কর্মীই নয় এমন দাবি করেছে সিলেট জেলা ছাত্রলীগ। গোলাগুলিতে নিহত লিটু একজন অছাত্র এবং মোবাইল দোকানের স্বত্বাধিকারী বলে জানিয়েছে জেলা ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ এবং সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
এ দিকে পুলিশ মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া পৃথক অভিযান চালিয়ে একটি রিভলবার ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। লিটুর বাবা খলিল উদ্দিন বাদী হয়ে ৭ জনের নামোল্লেখসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় ছাত্রলীগের বরাত দিয়ে ছাত্রলীগ নেতারা জানান, লিটু একজন অছাত্র এবং মোবাইল দোকানের স্বত্বাধিকারী। লিটু একজন বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী উল্লেখ করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা উল্লেখ করেন, কারো গুলিতে নয় বরং অবৈধ অস্ত্র নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে অবাধে প্রবেশ ও অবৈধ অস্ত্রের ম্যাগাজিন লোড করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত নিজের গুলিতে নিজেই নিহত হয় লিটু।
লিটুকে একজন ব্যবসায়ী উল্লেখ করে তারা জানান, লিটু একজন ব্যবসায়ী, তিনি কোনোভাবেই ছাত্রলীগের কর্মী হতে পারেন না।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুর ১ টার দিকে সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ফাঁকা শ্রেণিকক্ষে নিজ গ্রুপের নেতাকর্মীদের পাশেই আকস্মিক গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন উপজেলা ছাত্রলীগের পাভেল গ্রুপের কর্মী, পৌরশহরের খাসা পন্ডিতপাড়ার খলিলুর রহমানের একমাত্র ছেলে খালেদ আহমদ লিটু (২৬)।
ছামির মাহমুদ/এমএএস/এমএস