আত্মসমর্পণকারী চার ‘জঙ্গি’ সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য
সাভারের আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চৌরাবালি এলাকায় ‘জঙ্গি আস্তানার’ ভেতরে আর কেউ নেই। চার জঙ্গির আত্মসমর্পণের পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তবে বাড়িটির ভেতরে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল কাজ করছে।
রোববার বেলা আড়াইটার দিকে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আটক চারজন গুলশানের হোলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী নব্য জেএমবির তামিম গ্রুপের সদস্য। ওই এলাকায় তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।
চার জঙ্গি হলেন- মোজাম্মেল হক, রাশেদুন্নবী, ইরফানুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন। তাদের মধ্যে দলনেতা হলেন মোজাম্মেল হক।
বেলা ২টা ৫০ মিনিটে জঙ্গিদের অবস্থান করা বাড়িতে বোমা নিষ্ক্রিয়করণের প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর থেকে থেমে থেমে মোট তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, জঙ্গিরা বের হয়ে আসার পর বাড়িটিতে বেশ কিছু শক্তিশালী বিস্ফোরকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিষ্ক্রিয় করার কাজ করবে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
অভিযান শেষে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে মুফতি মাহমুদ খান আরও বলেন, মোজাম্মেল হক, রাশেদুন নবী, আলমগীর হোসেন, ইরফানুল হক নামের আটক চার যুবক নিজেদের পোশাক কর্মী পরিচয় দিয়ে এক মাস আগে বাড়িটি ভাড়া নেয়। ভাড়া নেয়ার সময় তারা বাড়ির মালিককে কোনো কাগজপত্র দেয়নি। সারওয়ার তামিম গ্রুপের সদস্য ছিলেন আটকরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় র্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জীবিত আটক করায় তাদের কাছ থেকে অনেক বিষয়ে তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করেন তিনি।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব গতকাল রাত ১টার দিকে বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালায়। রাত ৩টার দিকে ‘জঙ্গিরা’ জানতে পারেন র্যাব বাড়িটি ঘিরে রেখেছে।
রোববার সকাল ৮টার দিকে ‘জঙ্গিরা’ র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। র্যাব বারবার তাদের আত্মসমর্পণ করার জন্য মাইকে আহ্বান জানায়।
সবশেষ তাদের বলা হয়, দুপুর ১২টার মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে র্যাব অভিযান চালাবে। এতে ‘জঙ্গিরা’ নিহত হতে পারে। এরপর এক ‘জঙ্গি’ আত্মসমর্পণ করেন। তার মাধ্যমে বাকি তিন ‘জঙ্গিকে’ আত্মসমর্পণ করানো হয় বলেও জানান মুফতি মাহমুদ খান।
আল-মামুন/এএম/পিআর