ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই শিকলে বাঁধা সেই মায়ের
‘‘ছেলে-বৌমাকে ঘুম থেকে তুলে দেয়ায় মায়ের পায়ে শিকল’ শিরোনামে শুক্রবার জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর শুরু হয় তোলপাড়। অমানবিক এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভে ফেটে পড়ে লোকজন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শিয়ালডাঙ্গা গ্রামের ৭০ বছর বসয়ী জানু পারভীনের এমন পরিণতির জন্য ছেলের বিচার দাবি করেন সবাই।
ওই গ্রামের বাল্লক ওরফে পুটে গাজীর স্ত্রী জানু পারভীন। স্বামী মারা গেছেন ৩০ বছর আগে। প্রতিদিন ভোরে ছেলে মফিজুল ইসলাম ও বৌমা সালমা খাতুনকে ঘুম থেকে ডেকে তোলায় বিরক্ত হয়ে মা জানু পারভীনের পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে ছেলে।
জাগো নিউজে সংবাদটি প্রকাশের পর খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর হোসেন সজলকে বিষয়টির সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে শনিবার সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা খানম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মায়ের কথা শোনেন।
এ সময় জানু পারভীন বলেন, ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মাঝে মাঝে আমার মাথায় সমস্যা হয়। তখন আমি রাস্তায় চলে যাই। ফজরের নামাজের সময় মানুষের বাড়িতে গিয়ে নামাজের জন্য ডাকাডাকি করে জ্বালাতন করি। এজন্য প্রতিবেশীরা ছেলে-বৌমার সঙ্গে ঝগড়া করে। তাই রাগ করে ওরা আমাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, তারা আমার দেখাশুনা করে। খেতে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেরিনা খানম জাগো নিউজকে বলেন, সংবাদটি দৃষ্টিতে আসার পর ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বৃদ্ধা তার ছেলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর হোসেন সজল জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার স্যারের নির্দেশনা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আকরামুল ইসলাম/আরএআর/আরআইপি