বিরল রোগে আক্রান্ত আলিমুন
বিরল যন্ত্রণায় ভুগছে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামের ৬ বছর বয়সী শিশু আলিমুন শেখ।
বাবা মারা যাওয়ার পর মা আরেকজনকে বিয়ে করায় অসহায় হয়ে পড়েছে এই শিশুটি। জন্মের কিছুদিন পরই মাথায় তার এমন সমস্যা দেখা দিলে অভাবের কারণে চিকিৎসা হয়নি তার।
তবে গতকাল শনিবার থেকে অালিমুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। যে যার মতো করে ফেসবুকে শিশুটির চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করছেন।
তবে খুশির সংবাদ হলো এর অাগে দুপুর ১২টায় অালিমুনের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারিভাবে করা হবে বলে জাগো নিউজ কার্যালয়ে ফোন করে নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।
এ সময় তিনি বলেছেন, অালিমুনের চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক-৩ ডা. জুলফিকার আলী লেলিনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি অালিমুনকে ঢাকায় নিয়ে আসার কথা বলেছেন। ঢাকায় যেখানেই আলিমুনের চিকিৎসা সম্ভব সেখানেই সরকারি খরচে চিকিৎসা করানো হবে।
এর কিছুক্ষণ অাগে ছাত্রলীগের মানবসেবী এই নেতা নিজের ফেসবুক ওয়ালে অালিমুনের চিকিৎসার সহযোগিতা চেয়ে একটি পোস্ট দেন। আলিমুনের বাবা অাজাহার শেখ মারা যাওয়ায় ও তার মা ছকিনা অন্য জায়গায় বিয়ে করায় সে এখন তার চাচা মোজাহার শেখের কাছেই বড় হচ্ছে। তার চাচাও পেশায় দিনমজুর।
তার চাচার পাশাপাশি অালিমুনকে বাবার স্নেহে বড় করছেন একই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন ধরে মসজিদভিক্তিক মক্তবে শিক্ষকতা করছেন পল্লীচিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম। ওই মক্তবে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে অালিমুন। তার বড় ভাই শুকুর শেখ স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণিতে পড়ে।
জাহিদুল ইসলাসই আলিমুনকে স্কুলব্যাগ কিনে দেয়াসহ দরিদ্র-অসহায় এই ছাত্রের সবসময়ই খোঁজখবর রাখেন।
গত বৃহস্পতিবার তিনিই অসহায় আলিমুনের বিরল রোগের চিকিৎসার আবেদন জানিয়ে দুটি ছবি পোস্ট করেন তার ফেসবুকে। এরপর সেটি ভাইরাল হয়ে পড়ে।
অালিমুন জানায়, মাথাটা খুব ভারী হয়ে অাছে। ব্যথাও করে। মা খোঁজ নেয় না? এমন প্রশ্ন করাতে সে জানায়, অাসে মাঝে মাঝে। কোলেও নেয়।
জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যে চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া হয়েছে এটা শুনেছি লোকমুখে। অামরা এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। না জেনে কোথায় যাবো তাও বুঝতে পারছি না।
শওকত/এমএএস/আরআইপি