ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ফরিদগঞ্জের ভাটিয়ালপুর-হরিণা সড়কে বিশাল বিশাল গর্ত

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) | প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৭

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর থেকে হরিনা ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কটি দুর্ঘটনাকূপে পরিণত হয়েছে। সড়কের দুরাবস্থার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষকে জানানো হলেও এ অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ আজও লাঘব হয়নি। বরং তা প্রতিদিনই বাড়ছে। 

চট্টগ্রাম-খুলনা মহাগসড়কের চাঁদপুর জেলা অংশের হরিনা ফেরিঘাট থেকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়ালপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কের করুণ দশা। সড়কে সৃষ্টি হওয়া গর্তে পানির পরিমাণ এত বেশি যে বাধ্য হয়ে সেচ পাম্প দিয়ে তা সরাতে বাধ্য হয় লোকজন। কিছু কিছু স্থানে পানি কোমর পর্যন্ত রয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে খুলনা পর্যন্ত বিকল্প ও সংক্ষিপ্ত সড়ক হিসেবে এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ। মালবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়িগুলো যানজট মুক্ত থেকে দ্রুত নিদির্ষ্টস্থানে পৌঁছতে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে সড়কটিকে বেছে নেয়। চালু হওয়ার পর থেকে সড়কটির চাঁদপুর অংশের অবস্থা ভালো থাকলেও দুরাবস্থা ছিল শরিয়তপুর অংশে। কিন্তু সময়ে বিবর্তণে তার অবস্থান উল্টো হয়েছে। এরই মধ্যে সড়কটিতে বেড়েছে যানবাহনের ভিড়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত এক দশকে সড়ক সংস্কার করলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। স্থানীয় লোকজন ও ঠিকাদাররা জানায়, সড়কটিতে যে পরিমাণে ভারী যানবাহন চলাচল করে, সেই অনুযায়ী সেটি নির্মিত হয়নি। তাছাড়া ঠিকাদারের দুর্নীতির কারণও রয়েছে। ফলে সংস্কারের কিছুদিনের মধ্যে এটি পূর্বের অবস্থানে ফিরে গেছে। 

faridagang

সর্বশেষ দু’বছর পূর্বে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ভাটিয়ালপুর থেকে নয়াহাট বাজার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের কাজ শুরু হলেও এ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় এবং স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ঠিকাদার কাজ ফেলে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন জানায়, সড়কটি দিয়ে হেটে চলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় গত ঈদ-উল ফিতরের আগে থেকেই যানবাহন চলাচলের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল চৌধুরী সর্বশেষ গত ১৩ জুলাই ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় সড়কের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য কিছু করার আহ্বান জানান। 

সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামছূল হক ভূঁইয়া জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটি সংস্কার ও ভারি যানবাহন চলাচল উপযোগী করে তোলার জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তবে তা বর্ষার পর শুরু হতে পারে। 

এমএএস/জেআইএম