অনাথ হাবিবার গায়ে হলুদের ছোঁয়া
সন্ধ্যার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের মেড্ডাস্থ সরকারি শিশু পরিবারটিতে একেবারেই সুনসান নীরবতা বিরাজ করে। তবে আজকের (বৃহস্পতিবার) দিনটা একটু ভিন্ন। সন্ধ্যা থেকেই উৎসবমুখর সরকারি শিশু পরিবার।
কেননা আজ এই শিশু পরিবারের দীর্ঘদিনের নিবাসী অনাথ হাবিবা আক্তারের গায়ে হলুদ সন্ধ্যা। তাইতো শিশু পরিবার আজ সেজেছে বর্ণিল সাজে। বাহারি রঙের ঝাড়বাতির আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে শিশু পরিবার প্রাঙ্গণ। উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা শিশু পরিবারের সবাই।
তবে হাবিবা এখন আর অনাথ নয়, তার বাবা-মায়ের ভূমিকা পালন করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী ফারহানা রহমান। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই পুলিশ কনস্টেবল মো. জাকারিয়া আলমের সঙ্গে আগামীকাল (শুক্রবার) হাবিবার বিয়ে।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরকারি শিশু পরিবারে হাবিবার কপালে প্রথম হলুদ ছুঁয়ে দেন তার বাবার ভূমিকায় থাকা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এরপর পুলিশ সুপারের স্ত্রী ফারহানা রহমানও মেয়ের গায়ে হলুদ ছুঁয়ে দেন পরম মমতায়।
এরপর একে একে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দেলোয়ার হোসেনসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা হাবিবার গায়ে হলুদ ছুঁয়ে দেন। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান শেষে খাওয়া-দাওয়া ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি উপস্থিত হন।
এদিকে হাবিবার বিয়েকে সমাজের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, হাবিবার বিয়ে আমাদের সমাজের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা হাবিবার পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। হাবিবার মতো অন্য কেউ যদি এমন সমস্যায় পড়ে আমরা তার পাশেও দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।
আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর/জেআইএম