বরিশালে দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই মেম্বার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৩ জনসহ ১০ জনকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ১০ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যার পর মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আলীমাবাদ ইউনিয়নের গাগুরিয়া সুইচ গেট বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোরগ মার্কা প্রতীকের প্রার্থী মামুন আকন ও ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সফিক আকনের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল বয়াতী ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হুমাউন বয়াতী মেম্বার প্রার্থী সফিক আকনের পক্ষ নিয়ে ভোলা থেকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে মেম্বার প্রার্থী মামুন আকন ও তার কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করে। এতে মেম্বার প্রার্থী মামুন আকন গুলিবিদ্ধ হয়।
ঘটনাটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী সবাইকে ঘেরাও করলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়গ্রপের ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে মেহেন্দীগঞ্জ থানার এসআই তৈয়বুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ রাউন্ড রাবার গুলিবর্ষণ করে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সোহেল বয়াতী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হুমাউন বয়াতী আহত হয়। সংঘর্ষে চলাকালে বাজারের ১০টি দোকান ভাংচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ৩ জনসহ ১০ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের ভর্তি করা হয় ভোলা সদর হাসপাতালে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে একজন এসআইয়ের নেতৃত্বে পুলিশের দল পাঠানো হয়। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ওআর