ধুনটে দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নদীর কুল উপচে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে বসবাসকারী বাড়ি-ঘরে পানি উঠতে শুরু করেছে।
গুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী হারুনর রশিদ জানান, গত কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত শহড়াবাড়ি ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে।
যমুনা পাড়ের ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন শ্যামল বলেন, পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনা নদীর কুল উপচে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরে (পূর্ব পাশে) মাধবডাঙ্গা, ভুতবাড়ি, পুকুরিয়া, কৈয়াগাড়ি, বানিয়াজান, শিমুলবাড়ি, রাধানগর, বৈশাখী ও শহড়াবাড়ি গ্রামের বাড়ি-ঘর ডুবে যাচ্ছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২ হাজারা পরিবার। এরমধ্যে অনেক পরিবারের লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছে। এ বিষয়টি ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ছয়টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম এবং ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন করে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
পানিবন্দি লোকজন বসতবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নিম্নাঞ্চলের এক হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
লিমন বাসার/এমএএস/আরআইপি